গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে দ্বিতীয় দিনের মতো বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইল। টানা দুই দিনের এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২শ’জনে। গুরুতর আহত হয়েছে সাড়ে পাঁচশ’রও বেশি মানুষ। এদিকে, রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার পর গাজা ছাড়ছে বিদেশি নাগরিকরা। এছাড়া গাজায়, হামলার প্রতিবাদে ইসরাইল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জর্ডান।
গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অনেকটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে শরণার্থীশিবিরটি। এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫ জনে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ, এখনো নিখোঁজ শতাধিক। গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন সাড়ে পাঁচশ’ জনেরও বেশি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, শরণার্থী শিবিরে এ হামলাকে ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে শিশু হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, গাজা বর্ডার অ্যান্ড ক্রসিং কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বারের মতো ১৫টি দেশের ৫৯৬ জন বিদেশী ও দ্বৈত নাগরিকের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যারা বৃহস্পতিবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার প্রথমবারের মতো মিসর-গাজা সীমান্তবর্তী রাফাহ সীমান্ত খুলে দিলে গাজা থেকে ৫শ’ জনেরও বেশি বিদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক মিশরে চলে যায়।
এদিকে, গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানোর প্রতিবাদে ইসরাইল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জর্ডান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলেই কেবল দেশটিতে আবারও রাষ্ট্রদূতকে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, ইসরাইলি আরও একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় বারের মতো ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করলো গোষ্ঠীটি।